অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : গাজা যুদ্ধে ব্যর্থতার দায়ে ইহুদিবাদি ইসরাইলের সেনা কর্মকর্তাদের মাঝে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। এরইমধ্যে পদত্যাগ করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল হারজি হালেভি এবং সাউদার্ন কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল ইয়ারোন ফিংকেলম্যান। এছাড়া, পদত্যাগ করেছেন গাজা বিভাগের কমান্ডার আভি রোজেনফেল্ড, সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান আহারন হালিভা, গোয়েন্দা ইউনিট ৮২০০-এর কমান্ডার ইয়োসি সারিয়েল এবং গাজা উপত্যকার উত্তর ব্রিগেডের কমান্ডার হাইম কোহেন।
ইসরাইলের সবচেয়ে বড় সংবাদপত্র ইয়েদিওথ আহরোনোথ গাজা যুদ্ধের আগে এবং তার পরে ব্যর্থতার কারণে পদত্যাগকারী ইসরাইলি সামরিক কর্মকর্তাদের তালিকা প্রকাশ করেছে। পত্রিকাটির মতে, হালেভি এক বিশৃঙ্খল সময়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন তাকে নিয়োগ করে।
তিনি এমন এক সময়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেন যখন চিফ অফ স্টাফ রাজনৈতিক মহলের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিলেন এবং বিচার বিভাগের সংস্কার নিয়ে বিতর্কের মধ্যে ছিলেন যা ইসরাইলকে অস্থিতিশীল করে তুলেছিল এবং ইহুদিবাদী সমাজে গুরুতর বিভাজন তৈরি করে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক অভিযান মোকাবেলায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়। এর মধ্যদিয়ে দখলদার বাহিনীর অজেয় থাকার মিথকে মারাত্মক ভেঙে দেয় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধারা।
এদিকে, ইসরাইলি সেনাবাহিনীর রিজার্ভ জেনারেল আইজ্যাক বারাক ইসরাইলে আসন্ন গৃহযুদ্ধের বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, গাজাভিত্তিক হামাস এবং ইসলামী জিহাদ আন্দোলন যুদ্ধ-পূর্ব অবস্থায় ফিরে এসেছে, কিন্তু ইসরাইলি সেনাবাহিনী ভেঙে পড়েছে এবং যুদ্ধে ফিরে যাওয়ার যেকোনো পদক্ষেপ হবে বিপর্যয়কর।
বারাক বলেন। “হামাস এবং ইসলামী জিহাদ নিজেদের পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। বিপরীতে, ইসরাইলি সমাজ গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে। বাস্তবতা হলো যুদ্ধ যদি অব্যাহত থাকতো তাহলে ইসরাইলি সেনাবাহিনী হামাসকে পরাজিত করতে সক্ষম হতো না।”
Leave a Reply